প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:১২
ইশরাত খান মজলিস,থাকেন ঢাকার টিকাটুলি, কর্মস্থল গুলশান ১,পেশায় তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। রোজ সকালে স্কুটি চালিয়ে ছুটে চলেন অফিসে।ঢাকার রাস্তায় এবং ঢাকার বাইরেও বর্তমানে প্রায়ই দেখা মেলে এমন নারী বাইকারদের।যাদের ৮৫% কর্মজীবী নারী।ঢাকার রাস্তায় নারী বাইকারদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।কয়েক বছর আগেও রাস্তায় নারী বাইকারদের দেখা পাওয়া ছিলো বিরল ঘটনা।কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়েছে। যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে এবং পরিবেশ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে দিন দিন নারীরা স্কুটির প্রতি ঝুঁকছেন।
এ সম্পর্কে ইশরাত খান মজলিস বলেন, 'আমার অফিসে যাওয়ার সময় বাসে চলাফেরায় নানান হয়রানি ও নেতিবাচক ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো।তখন মনে হতো এভাবে আর পারছি না।তখন আমার হাসবেন্ড এর সাপোর্ট থাকায় এবং তার সহায়তায় স্কুটিটি কিনি।তবে স্কুটি চালাতে গিয়ে রাস্তায় প্রথম দিকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।কারণ ছেলেরা অনেক উত্যক্ত করতো।সরু রাস্তাগুলো দিয়ে যেতে গেলে ছেলেরা ইচ্ছে করে ফেলে দিত।কোন নারী পুরুষকে ছাড়িয়ে সাইড কেটে বাইক নিয়ে এগিয়ে গেছে এটা যেন তারা মানতেই চাইতো না
এ প্রসঙ্গেব লেডি বাইকার নার্গিস সুলতানার সঙ্গে,তাঁর মতে তিনি বাইকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এটা তাঁর সময় এবং টাকা বাঁচাচ্ছে।গণপরিবহনে চলাচল নারী বান্ধব না হওয়ায় যৌনহয়রানি,বাসে সিট পাওয়া,ভিড় ঠেলে বাসে উঠা ইত্যাদি নেতিবাচক পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় প্রতিটা মেয়ের।এসব নেতিবাচক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নারীদের পছন্দের জায়গায় স্থান পাচ্ছে স্কুটি।
মাইয়া মানুষ হোন্ডা চালায় না, এটা ব্যাটাদের কাজ।এমনসব হাজারো নেতিবাচক কথা এবং নানান প্রতিকূল পরিবেশ জয় করে ঢাকার রাস্তায় এখন অনেক নারীকে দেখা যায় রংবেরঙের স্কুটি চালাতে।ধীরে ধীরে এটি এখন শহরের রাস্তায় স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে গেছে।সরকারের কাছে বর্তমান নারী বাইক রাইডার এবং যারা স্কুটি কিনতে আগ্রহী কিন্তু টাকার স্বল্পতার জন্য পারছেন না তাঁদের দাবি নারীদের যদি সহজ কিস্তিতে বাইক কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং রাস্তাঘাট এ চলাচল নারী বান্ধব করা হয় তাহলে অনেক নারীর ক্ষেত্রেই স্কুটি নিয়ে রাজপথে বের হওয়াটা সহজ হতো