প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ০:১০
বছর ঘুরে আবার এলো শীত। এ সময় দক্ষিণাঞ্চলের আকর্ষনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন আপনিও। আর নৌপথে আরামদায়ক ভ্রমণের এখনই উপযুক্ত সময়। কেননা রোদের তীব্রতা, নদীতে ঝড়-বাতাস, উত্তাল ঢেউ কোনটিই এখন নেই। তাছাড়া যাত্রাপথে ধুলা থেকে রেহাই, সহজ ও আরামদায়ক ভ্রমণের সাথে পাবেন খোলা প্রকৃতি আর নদীর চমৎকার হাওয়া। ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং ডিজিটাল সুযোগ সুবিধাসহ বিলাসবহুল প্রাসাদসম একাধিক লঞ্চ রয়েছে। যার প্রতিটিতে অন্তত ৪-৫টি ভিআইপি কেবিন, ২৫-৩০টি এসি ক্যাবিন এবং বিলাসবহুল ভোজনালয় রয়েছে। ফলে এসব লঞ্চের ভ্রমন করলে মনে হবে যেন কোন রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেছেন।
বিলাসবহুল এসব লঞ্চের সৌন্দর্য দেখে যে কেউ বিস্মিত হবেন। কারণ দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যের সঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছুই রয়েছে লঞ্চগুলোতে। চোখ ধাঁধানো কাঠের কারুকাজ, নান্দনিক ডিজাইন ও আধুনিক সাজসজ্জা দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। মনে হয় ভেতরে জলে ভেসে চলা রাজকীয় এক প্রাসাদ। যে সকল ভ্রমণপিপাসু নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে দর্শনীয় স্থান ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাদের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। সেক্ষেত্রে আপনারা চাইলেই নৌপথের রাজপ্রাসাদে ভ্রমণ করতে পারেন। আধুনিকতার যুগে বিলাসবহুল ও প্রাসাদসম লঞ্চে ভ্রমণের জন্য আগে-ভাগেই যোগাযোগ করতে পারেন আপনিও। বরিশাল জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র ওয়েব সাইটে ঢুকলেই জানতে পারবেন লঞ্চে যোগাযোগের মাধ্যম।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার, ছারছীনা দরবার শরীফ, নেছারাবাদ এন.এস কামিল মাদ্রাসা, মাহিলাড়া মঠ, ঝালকাঠির শিব বাড়ি মন্দির ও ঠাকুর বাড়ি, গৈলা বিজয়গুপ্ত মনসা মন্দির, পাদ্রিশিবপুর গীর্জা, পটুয়াখালীর চর কুকরি মুকরি, লালমোহনে সজীব ওয়াজেদ জয় আইটি পার্ক, শেখ হাসিনা সেনা নিবাস, তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর, কুয়াকাটায় দেশের সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, সাগরকন্যা কুয়াকাটা যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত সরাসরি উপভোগ করা যায়।