তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে গড়ে ওঠা মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশাইকোনমিক জোন রক্ষায় একের পর এক মামলার কৌশল বেছে নিয়েছেন এমপি আসলাম। আজ এ সংক্রান্ত আরেকটি রিট খারিজ হওয়ার পর অবৈধ এ দুটি স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই বলে জানায় নদী রক্ষা কমিশনের আইনজীবী। অন্যদিকে আসলামের আইনজীবী জানান, আইনি পথে হাটা বন্ধ করবেন না তারা। ঊচ্চ আদালত বলেছেন, ফ্রিস্টাইলে নদী দখল করতে দেয়া যাবে না।এর আগে মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোনের অবৈধ অংশ দখলমুক্ত করতে গিয়ে বারবার এমপি আসলামের বাধার মুখে পড়ে বিআইডব্লিউটিএ। যৌথ জরিপের ধোঁয়া তুলে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান তিনি। হাইকোর্টে দৌড়ান এমপি আসলাম। বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ কার্যক্রম।
আসলামের দাবি মেনে নিয়ে ৮টি সংস্থা করেন যৌথ জরিপ। জরিপে দেখা যায়, দুটি স্থাপনার জন্য নদীর জমি দখল হয়েছে ৫৪ একর। সুপারিশ করা হয়, দখলমুক্ত করে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়ার।উচ্ছেদ বন্ধে এর আগে কয়েকবার রিট করেও সুবিধা করতে পারেননি এমপি আসলাম। উচ্ছেদের জন্য চান ক্ষতিপূরণ। বুধবার এ রিটটি খারিজ হয়ে যায়।নদী রক্ষা কমিশন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার সৃষ্টি হবে না এবং কর্তৃপক্ষ যারা আছে বিআইডব্লিউটিএসহ অন্যান্যরা অতি দ্রুত এই আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সেই কার্যক্রম তারা দ্রুত শুরু করবেন।’
এদিন শুনানিতে উচ্চ আদালত বলেন, ফ্রি স্টাইলে নদীর জমি দখল হতে দেওয়া যাবে না। তার আইনজীবী জানান, আবারো আইনি লড়াইয়ে যাবেন তারা।এমপি আসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিকার চাওয়ার জন্য আমরা সিভিল কোর্টে যাব।’উচ্ছেদ ঠেকাতে এর আগে ৪টি রিট করেছিলেন এই সংসদ সদস্য। সবশেষ নদী কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে করা আরেক রিট এখনো বিচারাধীন উচ্চ আদালতে।