প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:৫৮
আম্ফপান আশাশুনির মানুষ কে চিন্নভিন্ন কওে দিয়ে গেছে।আম্ফপান চলে গেলেও আশাশুনির শ্রীউলাউউনিয়নের মানুষজন এখনও তাদেও নিরবিচ্ছন্ন ক্ষত সারতে পারেনি। আম্ফানে নদীর ভেড়ি ভাঙ্গনে পানি ঢুকে পড়ে গ্রাম কে গ্রাম।ভেসে যায় ঘের ফসলি জমি।সেই নদী ভাঙ্গনের পানি এখনো রাস্তার উপরে হাঁটু সমান।আশাশুনির শ্রী উলা ইউনিয়নের বালিয়াখালি আব্দুল গনির বাড়ি হতে বালিয়াখালি সুইচ গেট পর্যন্ত পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা চলাচলে অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বালিয়াখালি,
রাধারআটি গ্রাম বাসিদের সহ কয়েক হাজার জনসাধারনের চলাচল ও ব্যবসা বানিজ্য ফিরে আসতো গতি। দীঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিনত হওয়া ৮কিঃ মিঃ রাস্তার বেশিরভাগ অংশই যেন এখন মরন ফাঁদ। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত লোক আশাশুনি, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও সাতক্ষীরা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটিতে যাত্রীবাহী নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল,ইুজবাইক,প্রাইভেট কার,মাইক্রো সহ প্রভৃতি যানবাহন চলাচল করে থাকে।
সড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে বালিয়াখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, বালিয়াখালি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, হাটবাজার। সড়কটি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণাঞ্চলের সাদা-সোনা খ্যাত চিংড়ী মাছ সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকে। সড়কটির উপর দিয়েই এ অঞ্চলে উৎপাদিত হাজার হাজার টন চিংড়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো সহ বিদেশেও রপ্তানী হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব অর্জন করে থাকে। ফলে এটি উপজেলার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ৮কিঃ মিঃ এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে এবং পানি জমে রয়েছে। সড়কটিতে যানবাহনে চলাচলের দূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে পায়ে হেটে চলাকে নিরাপদ মনে করছেন না।
এ ব্যাপরে কথা হলে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আমি সরজমিন হেটে দেখি আম্পফান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই রাস্তাটির। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।আগামী ৩/৪ মাসের ভিতর কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হলে বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন যোগাযোগ করে আসছি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হলে যাতায়াতের জনদূর্ভোগ থেকে মানুষ রক্ষা পায়।ইতিমধ্যে আমার লোকজন কিছুটা সংস্কারের কাজ করবে।ফলে কিছুটা হলেও জনসাধারন স্বস্তি পাবে।