পুলিশের ১৮৭ জন বড় কর্তা সহ অনুপস্থিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫২ অপরাহ্ন
পুলিশের ১৮৭ জন বড় কর্তা সহ অনুপস্থিত

বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য বিভিন্ন কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন এক জন ডিআইজি, সাত জন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুইজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচজন সহকারী পুলিশ সুপার, পাঁচজন পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ জন এসআই ও সার্জেন্ট, ৯ জন এএসআই, সাত জন নায়েক এবং ১৩৬ জন কনস্টেবল।


অনুপস্থিত এই ১৮৭ জন সদস্যের মধ্যে ৯৬ জন ছুটিতে আছেন, ৪৯ জন কর্মস্থলে গরহাজির রয়েছেন, তিনজন স্বেচ্ছায় চাকরি ইস্তফা দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং ৩৯ জন অন্যান্য কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছেন না।


পুলিশ সদরদপ্তর উল্লেখ করেছে যে, অনেকদিন থেকেই পুলিশ সদস্যদের কাজে ফেরার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম গত ৮ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। এর ফলে অনেকের ক্ষোভের কারণে অনেক পুলিশ সদস্য স্ব-স্ব ইউনিটে নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা নতুনভাবে কাজ শুরু করতে চাই।"


আইজিপি আরও জানান, ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু অপারেশনাল ভুলত্রুটি হয়েছে, যার কারণে ছাত্র-সাধারণ মানুষ ও পুলিশসহ অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।


অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত ঘটনার কারণে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং কিছু কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার আশুলিয়ায় ৫ আগস্ট হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত।


এছাড়া, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগও সামনে এসেছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এসআই মাহাবুব হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করেছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রাজীব আলী ও তার পরিবার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসআই মাহাবুব এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন, তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।