চেয়েছিলেন এক, আর হয়ে দাঁড়াল আরেক। বিয়ের দিনে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটালেন তরুণী, যে, তার জেরে ভেঙে গেল বিয়েটাই। অভিনব মেকআপের দৌলতে নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই তরুণী। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আক্ষরিক অর্থেই ধরুন আর অন্তর্নিহিত অর্থে, মুখ পুড়েছে এই তরুণীর। বিয়েতে অভিনব ভাবে সাজতে গিয়ে মুখ ফুলে কালো হয়ে গিয়েছে তাঁর। এদিকে পাত্রীর এই নতুন রূপ দেখে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন পাত্রও। সব মিলিয়ে, গণ্ডগোল হয়ে গিয়েছে পুরো বিষয়টাতেই। আর এই সব কিছুর জন্যই দায়ী সামান্য মেকআপ।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
বিয়ের দিনে যে কোনও মেয়েই হয়ে উঠতে চান অপরূপা। এমনিতে তাঁকে যেমন দেখতেই হোক না কেন, সেদিন যেন আর নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যে মন ভরে না। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সেরা তরুণীর সঙ্গেও যেন সেদিন মনে মনে তুলনা চলে, ঠিক অমনটাই দেখতে লাগছে কি না। আর তাই, বিয়ে মানেই রূপটান শিল্পীর কাছে ছুট। নানারকম প্রসাধনী ব্যবহার করে নিজেকে একেবারে অন্যরকমভাবে সাজিয়ে তোলার পালা।
কিন্তু সেই অন্যরকম যে এতটাই অন্যরকম হয়ে দাঁড়াবে, সে কথা নিশ্চয়ই ভুলেও ভাবেননি কর্ণাটকের এই তরুণী। মেক আপের জেরে তাঁর মুখ এমনভাবেই বদলে গিয়েছে যে তাঁকে এখন চিনতে পারাই দায়। আর যে বিয়ের জন্য এত আয়োজন, এত সাজসজ্জা, মেকআপ কাণ্ডের জেরে ভেঙে গিয়েছে সেই বিয়েটাই।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাসান জেলার আরাসিকেরে গ্রামে। বিয়ের আগে রূপচর্চা সারতে স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন গ্রামের এক তরুণী। তাঁর দাবি, গঙ্গা নামের ওই রূপটান শিল্পী তাঁকে অভিনব সাজে সাজিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো মেকআপ আর্টিস্ট তাঁর মুখে প্রসাধনী লাগিয়ে গরম বাষ্প দিতে শুরু করেন।
আর সেই গরম বাষ্পের কারণেই তাঁর মুখ পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। এই অবস্থায় বিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন পাত্রও। পাত্রীর পরিবারের তরফে ওই রূপটান শিল্পীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বিকৃত মুখ নিয়ে আপাতত স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।