প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২১:২০
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি এক উকিল নোটিশের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে তার সুনাম ক্ষুণ্ন এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন। ব্রিটিশ আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপির মাধ্যমে পাঠানো এ নোটিশে টিউলিপ বলেন, তার নির্বাচনী এলাকা ও রাজনৈতিক কাজে বিঘ্ন ঘটানোই মূলত এই প্রচারণার উদ্দেশ্য। তিনি অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে এবং এসব অভিযোগের কোনো তথ্যগত ভিত্তি নেই।
নোটিশে বলা হয়, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে দুদক চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হলেও সেগুলোর জবাব পাওয়া যায়নি। ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকেও এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়, তবে সেখান থেকেও সাড়া না মেলায় টিউলিপের পক্ষে আইনি প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে আইনজীবীরা। উকিল নোটিশে আরও বলা হয়, ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করলেও ইউনূস সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, যা এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির প্রতি অসম্মানজনক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবিসি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস কেন টিউলিপের সঙ্গে দেখা করেননি, সে প্রশ্নের উত্তরে আইনি প্রক্রিয়া চলার কারণ দেখানো হলেও স্টেফেনসন হারউড মনে করে, এটি এক ধরনের এড়িয়ে যাওয়া। তারা বলছে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে ড. ইউনূস টিউলিপের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে পারতেন, যেখানে এসব অভিযোগের মিথ্যাচার স্পষ্ট হয়ে যেত।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তাই এমন সময়ে তাকে নিয়ে জনসম্মুখে মন্তব্য করা অনুচিত এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। উকিল নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও দুদক যেন এই প্রচারণা থেকে সরে আসে এবং বিষয়টির অবসান ঘটায়।
অবশেষে আইনি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে টিউলিপ বিষয়টিকে সমাপ্ত হিসেবে ধরে নেবেন এবং আইনি পথ অনুসরণের অধিকার সংরক্ষণ করবেন।