রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড কার্যকর হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি জাহিদুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২১ সালে খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকায় সাইফুল ইসলামের সাত বছরের মেয়েকে আরবি পড়ানোর সময় ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই রায় ন্যায়বিচারের প্রতিফলন এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এমন অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর হবে, যাতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে বলেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে অন্য কোনো শাস্তির সুযোগ থাকা উচিত ছিল বলে তিনি মত দেন।
এই রায় নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ কেউ মনে করছেন, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, আবার কেউ মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আজীবন কারাদণ্ডের পক্ষে মত দিচ্ছেন। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, যা সমাজের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।