কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি নিজেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় এ হামলার বিষয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি, ওসি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, "মামলা দায়েরের পর তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি জানান, হামলার ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "আমার ওপর হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারণে হয়তো কিছু লোক কাজ করেছে। তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।"
জানা গেছে, মাহমুদুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিন নিতে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়া আসার সময় হামলার শিকার হন। এই মামলায় হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে মাহমুদুর রহমানের রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনে অনেকটা বিতর্কিত রূপান্তর ঘটেছে।
এ ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি। রাজনৈতিক পটভূমিতে গড়ে ওঠা সংঘাতের কারণে সমাজে বিদ্বেষ এবং অস্থিরতা বাড়ছে।
হামলার ঘটনাটি দেশের গণমাধ্যমে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।