মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে তাদের প্লান্টেশন খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দেশটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য কোটা অনুমোদন শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে যে, প্লান্টেশন সেক্টরের চাহিদাপত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করা হচ্ছে।
বিদেশি কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
- কোম্পানির অনুমোদনপত্র, যেখানে কমপক্ষে একজন ম্যানেজার পর্যায়ের কর্মচারী থাকতে হবে।
- সত্যায়ন ফি’র মূল ব্যাংক স্লিপ।
- শ্রমিকদের সর্বশেষ বেতন স্লিপ (৪/৫ জন শ্রমিকের নমুনা বেতন স্লিপ)।
- কোম্পানির পটভূমি তথ্যের প্রোফাইল, যেখানে বিদ্যমান শ্রমিকের সংখ্যা (দেশি ও বিদেশি) উল্লেখ থাকবে।
- শ্রমিকদের ২/৩ জনের ফোন নম্বর।
- কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত ৩ মাসের), যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
- বিদেশি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি (বিদ্যমান কর্মীদের নমুনা নথি)।
- বিদেশি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিক্যাল স্কিম (এসপিআইকেপিএ)-এর নথি (বিদ্যমান শ্রমিকদের নমুনা নথি)।
- বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট।
- জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল।
- প্রতিশ্রুতি/গ্যারান্টি পত্র।
- পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার।
- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।
- কর্মসংস্থান চুক্তি।
- রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি।
- মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদন পত্র।
এসব নথির ২ সেট তৈরি করে ১ সেট মূল এবং ১ সেট অনুলিপি হিসেবে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিমের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। নতুন এই সিদ্ধান্ত বিদেশি কর্মীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন খাতে দক্ষ কর্মীর অভাব পূরণে সহায়তা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।