রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মৃত নাইমুল আবরারের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অবহেলাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে ১ ডিসম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক এ আদেশ দেন।
এর আগে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন আবরারের বাবা মজিবুর রহমান। এর আগে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আবরারের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয় হত্যাকাণ্ড। তাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন তারা।
আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ জানান, আদালত মামলার ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আবরারের বাবার করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত করেও প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে আবরারের মৃত্যুর জন্য কিশোর আলো কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছেন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার কাজী শামীম ফরহাদ।
উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর (শুক্রবার) রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল আবরার। বিকেলে অনুষ্ঠান মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। সেখানে জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পের দুজন চিকিৎসক নাইমুল আবরারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।