ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লার সেই ঝুমন দাশকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে জামিনের এই সময়ে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত। হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
আদালতে ঝুমনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ঝুমন দাসের জামিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। এর আগে গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। তিনি স্ট্যাটাসে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝুমন দাসের বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট করে। এরপর ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এই মামলায় কয়েক দফায় জামিন আবেদন খারিজের পর ঝুমন দাস হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।