বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে আগের সব শর্ত বহাল থাকবে। বিদেশে যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া। দেশে থেকেই তাকে চিকিৎসা নিতে হবে। আর স্থায়ী মুক্তির জন্য যেতে হবে আদালতে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার মুক্তির মেয়াদ চতুর্থ দফায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে চলতি মাসের শুরুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। পরে মতামতের জন্য সেখান থেকে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই সময় জার্মানিতে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দেশে ফিরে তিনি জানান,আইন মন্ত্রণালয়ের মতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেবে তারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা ছয় মাস স্থগিত হয়।
এরপর দুই দফা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ওই সময় ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এছাড়া তার আরও শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।