রাঙ্গাবালীতে প্রার্থীকে লাঞ্ছিত, সমর্থকের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
এম. সোহেল
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৪০ অপরাহ্ন
রাঙ্গাবালীতে প্রার্থীকে লাঞ্ছিত, সমর্থকের কারাদন্ড

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রতিদ্ব›দ্বীর সমর্থকদের হাতে এক প্রার্থী শারীরিক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত ১২ টায় উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের হরিদ্রাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


লাঞ্ছিত হওয়া ওই প্রার্থীর নাম কামাল পাশা। তিনি  ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪  নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রার্থী কামাল পাশার অভিযোগ, নির্বাচনী এলাকায় ভোট চাইতে গেলে  প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী শুকুর খলিফার (মোরগ মার্কা) ৭-৮ জন সমর্থক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গলায় মাফলার পেচিয়ে টেনে হিচড়ে খালের পাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখে এক ব্যক্তি ডাক-চিৎকার দিলে  স্থানীয় লোকজন ছুঁটে আসেন । এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একজনকে ধরে ফেলেন তিনি। 


এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং প্রার্থীকে শারীরিক লাঞ্ছিত করার সত্যতা পেয়ে সোহাগ খান (৪০) নামের ওই হামলাকারীকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাত সাড়ে ১২ টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর হোসেন এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ ওই ইউনিয়নের হরিদ্রাখালী গ্রামের মৃত হারুন খানের ছেলে। 


এদিকে, ইউপি সদস্য প্রার্থী কামাল পাশার ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকালে হরিদ্রাখালীতে বিক্ষোভ করেছে তার সমর্থকরা। সমর্থকদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে কামাল পাশার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার বিচার চান তারা। তবে প্রার্থী কামাল পাশার ওপর হামলার  বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী শুকুর খলিফা বলেন, ‘রাতে আমার কাছে একটা ফোন আসে কামাল পাশা টাকা নিয়া এলাকায় ঢুকছে তাকে ধরছে। আমি বলছি তোমরা তাকে ধরছো কেন, ছেড়ে দাও। আমি এছাড়া কিছু জানি না।’  


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে সোমবার দুই প্রার্থীকেই কারণ দর্শনো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী শুকুর খলিফার কাছে তার  সমর্থক সোহাগ খানের হাতে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী কামাল পাশা লাঞ্ছিত হওয়ার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। আর টাকা নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে কামাল পাশার কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৪ মধ্যে তাদের লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়।’