বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া সুগার মিলের গুদামে রক্ষিত ৫২ মেট্রিক টন চিনি চুরির ঘটনায় দুই কর্মকর্তা ও এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবু তাহেরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। কুষ্টিয়ায় দুদকের আইনজীবী আল মুজাহিদ মিঠু জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে। এই মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সুগার মিলস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক (ভান্ডার) মো. আল আমীন, গুদামরক্ষক মো. ফরিদুল হক ও শ্রমিক সর্দার মো. বশির উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২১ সালের ১২ জুনের মধ্যে সর্বশেষ ইনভেন্টরি কার্যক্রম হয়। এ সময়ের মধ্যে কুষ্টিয়া সুগার মিলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদিত ও গুদামে রক্ষিত ১২১ মেট্রিক টন চিনির মধ্যে ৫২ মেট্রিক টন চিনি চুরির অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে আসে। পরে গুদামে রক্ষিত মালামাল নিরীক্ষণ করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। গুদামে রক্ষিত চিনি চুরি হলেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে মিল কর্তৃপক্ষ। পরে চাপের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করে। এ জিডির সূত্র ধরে দুদক চিনি চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করে।
দুদকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে প্রতারণাপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৫০ দশমিক ৭০০ মেট্রিক টন চিনি আত্মসাত করেছে। এসব চিনির বাজারদর ৩৩ লাখ ২০ হাজার ১০০ টাকা। বার্ষিক উৎপাদনে কয়েক বছর ধরে লোকসানের কারণে গত আখ মাড়াই মৌসুমে সারা দেশে নয়টি চিনিকল বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকলও আছে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চিনিকলটি এখন কেবল লুটপাটের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।