বগুড়ার শেরপুরে পাওনা টাকা তুলের দেয়ার আশ্বাসে গৃহবধুকে ধর্ষণ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ জুলাই শুক্রবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা দুই সন্তানের জননী গৃহবধু।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩নং খামারকান্দি ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওহাবের আত্মীয় শহিদুল ইসলামের নিকট হতে গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ গ্রামের আব্দুল আহাদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রোকসানা খাতুন ৫০ হাজার টাকা পেতো।
দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা তুলতে না পারায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব ভূক্তভোগী রোকসানার পাওনা টাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয় খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল ওহাব।
৩০ জুলাই শুক্রবার বিকেলে সেই পাওনা টাকা আদায় করে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধু রোকসানাকে চেয়ারম্যানের শেরপুর পৌরসভা জগন্নাথপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় আসতে বলে। ওই গৃহবধু চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে কেউ না থাকার সুযোগে চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব রোকসানাকে ধর্ষণ করে।
পরে রাতে রোকসানা খাতুন নিজে বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা করেন, মামলা নং ৩২।
ভুক্তভোগী রোখসানা খাতুন বলেন, আমাকে পাওনা টাকা তুলে দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব তার বাসায় আসতে বলে। সেখানে গেলে সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমি আইনের আশ্রয় নিতে থানায় এসে মামলা করি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওহাব বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় মামলা করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিতাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।