অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার পরিবার। পটল পাট ক্ষেত বসত বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে দুঃচিন্তায় ভুগছে চর অঞ্চলের কৃষকরা।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় র্দূভোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারী পাড়া গ্রামের সোলেমান মিয়া জানান, ইতিমধ্যে পানি প্রতিটি পরিবারের ঘরের ভিতরে উঠে গেছে। তিনি আরও বলেন গত এক সপ্তাহের নদী ভাঙনে তার ৫ বিঘা জমি উঠতি তোষাপাটসহ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনজু মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ১০০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চলের কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিকট হতে পানিবন্ধি ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০টি পানিবন্ধি পরিবারদের তালিকা করা হয়েছে। তবে সংখ্যা আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যে বানভাসিদের জন্য ৩৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উপজেলা নিবার্হী মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, তিস্তায় পানি বাড়ছে। এখনও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বন্যায় বানভাসিদের সহায়তায় সকল রকম প্রস্তুতি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।