রাজধানীর বাজার, সুপার শপে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। খুচরা দোকানিরা বলছেন, তারা ডিলারের কাছে চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না। আর ডিলাররা বলছেন, কোম্পানি তাদের তেল সরবরাহ করছেন না। আর ভোক্তারা বাজারে গিয়ে তেল পাচ্ছেন না।
কোথাও পাওয়া গেলেও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। আজ শনিবার (৭ মে) সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দোকানে দোকানে ঘুরে সয়াবিন তেল পাননি রাজধানীর ইস্কাটনের স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি জানান, ইস্কাটনের কোনো দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে দোকানেই যাই বলে তেল সাপ্লাই বন্ধ।
দোকানে বলেন, কোম্পানির কাছে তেল অর্ডার করেছি এক সপ্তাহ আগে। ফোন করলে বলে তেল নেই।
একটি সুপার শপ বাজার সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ৪টি শাখার কোথাও সয়াবিন তেল নেই। প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা সকল তেল বিক্রি হয়ে গেছে। এরপর আর তেল কোম্পানির থেকে তেল পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
স্বপ্ন সুপার শপের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ আরমান বলেন, দুঃখিত, আমার কোনো শাখাতেই সয়াবিন তেল নেই।
এদিকে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতেও তেলের সংকট কাটছে না। কোনো দোকানেই মিলছে না তেল। দোকানে বিভিন্ন তেল বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অন্যান্য পণ্যের অর্ডার নিলেও তেলের অর্ডার নেননি।
একই অবস্থা রাজধানীর রাজাবাজার এলাকায়। এখানেও কোনো দোকানে বোতলজাত তেল নেই। যে কয়েকটি দোকানে বিক্রি করছে তারা বোতল ভেঙে বিক্রি করছে। রাজধানীর অন্য এলাকায়ও একই তথ্য মিলেছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা ও পাম সুপার ১৭২ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। যা শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।