ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৮ অপরাহ্ন
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রী



ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে উভয় ঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে এবং পারাপারের অপেক্ষায় দুর্ভোগে পড়ে যাত্রী ও চালকরা।


ঘাট এলাকায় আটকে পড়া বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে করতে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। কেউ কেউ গাড়ির ভেতরে অবস্থান করলেও প্রচণ্ড শীতে স্বস্তি মিলছে না।


ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশার কারণে ফেরির বিকন বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে গেলে নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।


ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক, দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। চালকদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার কারণে তাদের জ্বালানি খরচ বাড়ছে এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। অনেক চালক ও শ্রমিক ঠান্ডা এড়াতে আগুন জ্বালিয়ে অপেক্ষা করছেন।


বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং আটকে থাকা যানবাহনগুলো দ্রুত পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে।


নৌযান বন্ধ থাকায় শুধু যানবাহনই নয়, সাধারণ যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে নৌকা বা স্পিডবোটে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তারা ঘাটে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন।


প্রতিদিন এই নৌপথ দিয়ে হাজারো যানবাহন চলাচল করে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। বিশেষ করে কাঁচামালবাহী যানবাহন চালকদের দুশ্চিন্তা আরও বেশি।


যাত্রীরা বলছেন, কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হলেও ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। তারা চায়, এমন পরিস্থিতিতে ঘাটে যাত্রীদের জন্য আশ্রয় ও গরম পোশাকের ব্যবস্থা রাখা হোক, যাতে শীতে কষ্ট কিছুটা হলেও কমে।