ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের আগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই সার্ভার জটিলতায় টিকিট পাননি অনেক টিকিটপ্রত্যাশী। সকাল থেকে রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন কর্তৃপক্ষ। এরপর যখন সার্ভার সচল হলো, তখন দেখা গেলো টিকিটশূন্য। এজন্য তারা রেলকর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।
ঈদ উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের আগ্রিম টিকিট বিক্রি। যা চলবে ২৭ এপ্রিল বিকাল ৪টা পর্যন্ত। টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই ভোগান্তিতে পড়েছেন অনলাইনে টিকিট প্রত্যাশীরা।
সকাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটা যাচ্ছিল না। ওয়েবসাইটে একটি বার্তা লিখে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরও অনলাইনে টিকিট না পেয়ে সাংবাদিক আতিকা রহমান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সকাল থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য বসেছিলাম। কাউন্টারে ৫০% আর অনলাইনে ৫০% টিকিট বিক্রি হবে। টা থেকে টিকিট অনলাইনে পাওয়ার কথা। ৮টা পর্যন্ত সার্ভারে ঢোকা যায়নি। ৮টা ১৫ মিনিটে যখন সার্ভারে লগইন করলাম, তখন দেখি সব টিকিট সোল্ড আউট! এটা বড় ধরনের বাটপারি। মাত্র ১৫ মিনিটে সব টিকেট শেষ হয়ে যায় কিভাবে? অবশ্যই মেনুপুলেট করে সব টিকিট কেটে নেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারন মানুষ টিকিট না পায়’
আতিকা রহমানের মতো আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, ১৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে ট্রেনের অনলাইন টিকিট। বার বার চেষ্টা করেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না রেলওয়ের সার্ভারে। অনেক চেষ্টার পর যখন সার্ভারে প্রবেশ করলাম তখন দেখি সব টিকিট শেষ।
টিকিট প্রত্যাশীরা বলেন, যেখানে ওয়েবসাইটেই ঢোকাই যাচ্ছিল না, সেখানে টিকিট শেষ হয় কিভাবে?
জানা গেছে, ঈদের সম্ভাব্য দিন আগামী ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে আজ শনিবার। সে হিসেবে ২৩ এপ্রিল দেয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৪ এপ্রিল দেয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল দেয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল দেয়া হবে ১ মে'র টিকিট। আর ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২ মে’র ট্রেনের টিকিট।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।