হুমকির মুখে টাঙ্গাইলের বার্থা পাকা সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মির্জা শহিদুজ্জামান দুলাল, জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১২ই আগস্ট ২০২১ ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
হুমকির মুখে টাঙ্গাইলের বার্থা পাকা সড়ক

টাঙ্গাইল সদরের গালা ইউনিয়নের পাছ বেইথর বার্থা পাকা সড়কটি পুংলি (এলেংজানি) নদীর কোল ঘেষে রসুলপুর হয়ে বড়রিয়া সুরুজ পর্যন্ত পৌছেছে এই পাকা সড়কটি। এসব এলাকায় বর্ষা মৌসুম এলেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়, সম্প্রতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় এই সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে। 




এই সড়কে প্রায় প্রতিদিন কয়েকহাজার লোকের চলাচল, প্রতিদিন শত শত ব্যাটারি চালিত অটো রিক্শা, সিএনজি, মোটর সাইকেল চলাচল করে এই সড়কেই। 




সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির প্রায় ২০০ মিটার অংশ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে, এই অংশে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে, ঝুকি নিয়েই যানবাহন যাতায়াত করছে, ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 



পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু জায়গায় ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলছে। ভাঙ্গনের জায়গাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে বাশেঁর খুটি দিয়ে ভাঙ্গন থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতেও কাজ হচ্ছেনা। অনেক জায়গায় জিও ব্যাগ ও বাশেঁর খুটি সহ নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে গেছে।



পাছ বেইথর গ্রামের নিখিল ঘোস বলেন, কয়েকবছর আগে এই রাস্তা ঘেষে প্রায় তিরিশ থেকে চল্লিশটি বাড়ি ছিল সবগুলি ভিটেবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী সড়ক পর্যন্ত চলে এসেছে এখন  সড়কটিও  হুমকির মুখে।



বার্থা গ্রামের রাজু মন্ডল বলেন, সড়কটি অনেক জায়গায় দেবে গেছে এখনই ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এই সড়কটি ভেঙ্গে গেলে শহড়ের সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।




এলাকাবাসী সরকারের কাছে জোর দাবী জানায়, নদীর পাড়ে একটি স্থায়ী বাধঁ নির্মান করে এই গ্রামকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার।




গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার বলেন, তিন বছর যাবৎ নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলেছি। কিন্তু সমাধান করা হয়নি। এ বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সাথেও কথা হয়েছে তিনিও বিষয়টির আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু সমাধান এখোনো হয়নি। 




সড়কের পাশে অনেকগুলি বাড়ি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম এলেই ভাঙ্গনের জায়গাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে বাশেঁর খুটি দিয়ে ভাঙ্গন থামানোর চেষ্টা করা হয়, তবে তাতে কোন কাজ হয় না বরং শুকনা মৌসুমে যদি জিও ব্যাগ ফেলে বাধ দেয়া যেত তবে হয়ত কিছুটা কাজে লাগত। তবে এখানে প্রয়োজন একটি স্থায়ী বাধঁ নির্মান।




টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙনরোধে একটি স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙন সমস্যা আর থাকবে না। জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’