প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২১, ২২:৩১
পটুয়াখালীর মৎস্যবন্দর আলীপুর চৌরাস্তা একটি জন গুরুত্বপুর্ন একটি স্থান। এই জন গুরুত্বপুর্ন স্থানটিকে ঘিরে ভাসমান দোকানপাট গড়ে ওঠায় ভোগান্তিতে পরেছে পথচারীসহ যানবাহন চালকরা।
আলীপুর চৌরাস্তার সাথে ৩টি ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকে। শত শত যাবাহন চলাচল করে এখান থেকে। এখানে রয়েছে গাড়ী স্টান্ড। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে বেরীবাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়েজিত চায়না সিকো কোম্পানীর ভেকু,ট্রাকসহ ভারী যানবাহন।
আলীপুর চৌরাস্তা ও তার আসেপাশের ব্যস্ততম এই সড়কের ফুটপাত এবং মুল সড়ক জুড়ে ফলের দোকান, পানের দোকানসহ বিভিন্ন প্রকার দোকানপাট বসিয়েছে বাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। আবার সড়কের দুই ধারের স্থায়ী দোকানের সামনে বসিয়েছে অস্থায়ী দোকান।
এতে এই ব্যস্ততম সড়কটিতে প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
এসব ভাসমান দোকানপাটের কারনে যানবাহন ও মানুষজন চলাফেরা করতে পারছে না। সড়কে জ্যামের সৃস্টি হচ্ছে।
এসব অনিয়ম ও ভোগান্তি লাগবে বাজার কমিটি ভাসমান দোকানপাট অপসারণের উদ্যোগ নিলেও ইজারাদার এবং একটি স্বার্থন্নেসী মহলের চাপে অপসারণ করতে পারছে না তারা। এবিষয়ে বাজার কমিটি সড়ক জনপথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও তারা কর্ণপাত করছে না।
বাজার কমিটির অভিযোগ একটি কু-চক্রিমহলের যোগসাজশে মোটা অংকের বাণিজ্যের মাধ্যমে এসব ভাষমান দোকান পাট গড়ে ওঠছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, অনেক ভাসমান দোকান্দার রাস্তার উপর তৈরীকৃত চকি ভাড়া নিয়ে তারা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ভাসমান দোকানীদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, এক একটি চকির বিনিময় বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছেন তারা।
একটি মহল বাজারের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নষ্ট করে নিজেদের আখের গোছাতে রাস্তার উপর যত্রতত্র ভাষমান দোকান বসিয়েছেন। তবে এসুযোগ হাতছাড়া করেননি বাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষও।
ইজারাদারের লোকজন টাকার লোভে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা না করে ফল বিক্রেতাদের বেশ কিছু দোকান নিজেদের খেয়াল খুশিমত রাস্তার উপরে অপরিকল্পিতভাবে বসিয়েছেন। সেখান থেকে দোকান প্রতি ক্যারেট বাবদ ৩০ টাকা থেকে দৈনিক পায় তিন থেকে চার’শত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক বাজার মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর হওয়ায় এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আসেন এখানে। এ মৎস্যবন্দর অবলোকন করতে শতশত পর্যটকরা চলাফেরা করে থাকে।
আলীপুর বাজার মসজিদের শত শত মুসুল্লিদের নামাজের সময় এখান দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। শেখ রাশেল সেতুর প্রবেশধারের সিড়ি এই চৌরাস্তায় অবস্থিত। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে চলাফেরা করে থাকে। তাদের পরতে হয় বিড়ম্বনায়।
বাজার কমিটির অব্যবস্থাপনার কারণে গড়ে ওঠা যত্রতত্র ভাসমান দোকান পাটের ফলে পরতে হয় বিপাকে। একদিকে বেদখল হচ্ছে বাজারের জমি অপর দিকে রাস্তার উপর যত্রতত্র দোকান গড়ে ওঠায় গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পথচারীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এছাড়া আলীপুর চৌ-রাস্তায় বর্তমানে যেভাবে গাড়ির ভীর দেখা গেছে, তাতে শৃঙ্খলার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন। অথচ এত ভীরের মধ্যেও রাস্তার উপরে ফলের দোকান এযেন রাম রাজত্যের মত।
এ ব্যাপারে বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহরাফ হোসেন বলেন, আলীপুর বাজারের গুরুত্বপুর্ণ সড়ককে ঘিরে অবৈধ ভাসমান দোকান গড়ে উঠেছে।
এসব ভাসমান দোকান উচ্ছেদে তারা উদ্যোগ নিলেও ইজারাদার ও একটি কু-চক্রি মহলের বাধার মুখে তারা উচ্ছেদ করতে পারছেন না। যানবাহন ও পথচারীদের স্বার্থে এসব দোকান অপসারণ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং দলছুট নেতাদের কারনে সড়কটিতে কোন শৃঙ্খলা নেই।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বাজারের জমি দাতারা এখন পর্যন্ত বাজারের জমি বুঝ দেয়নি, যেকারণে আমরা শৃঙ্খলা আনতে পারিনি, তবে চকি ভাড়া দেয়া একটা অপরাধ।
তিনি আরো বলেন, এটা কারা করছে তা আমি জানি না। তবে চৌ-রাস্তায় অপরিকল্পিত দোকান অপসারণের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারছি না। অপসারণ করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার গড়ে ওঠে এসব দোকান পাট।