করোনার জাদুকরী সমাধান নেই, নাও মিলতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যাপারে দৃঢ় আশা থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সহজ ও জাদুকরী কোনও সমাধান হয়তো মিলবে না এবং স্বাভাবিকতায় ফেরার পথ দীর্ঘ হবে। সোমবার জেনেভায় এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিইয়েসুস।
রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮১ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি। কিছু দেশ করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি কেটে উঠছে বলে মনে হলেও বর্তমানে সেসব দেশে এই ভাইরাসের পুনরুত্থান দেখা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস আধানম গেব্রিইয়েসুস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমারজেন্সি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বিশ্বের সব দেশে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব পালন, হাত ধোয়া এবং পরীক্ষার মতো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
জেনেভায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস বলেন, জনগণ এবং সরকারগুলোর কাছে আমাদের বার্তা পরিষ্কার: সবাই এসব পালন করুন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে মাস্ক পরিধানকে সংহতির প্রতীক করে তোলা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করছি; যা মানুষকে সংক্রমণ থেকে রক্ষায় সহায়তা করতে পারে। যাহোক এ মুহূর্তে কোনও সহজ ও জাদুকরী সমাধান নেই এবং কখনও নাও মিলতে পারে।
রায়ান বলেন, ভারত, ব্রাজিলসহ যেসব দেশে করোনার তীব্র সংক্রমণের হার রয়েছে, তাদের বড় ধরনের লড়াইয়ের প্রয়োজন। এখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ অনেক দীর্ঘ এবং এজন্য টেকসই প্রতিশ্রুতি দরকার।
ভাইরাসটি উৎপত্তিস্থল চীনে একটি অগ্রগামী তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে এবং তারা এখনে ফেরেননি বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। টেড্রোস আধানম বলেন, বিশ শতকের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হলো করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস মোকাবিলায় একটি ভ্যাকসিনের জন্য আন্তর্জাতিক যে প্রচেষ্টা চলছে, তা ঐতিহাসিক।
তিনি বলেন, অনেক ভ্যাকসিন পরীক্ষাধীন। বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে এবং আশা সেখানেই। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমরা ভ্যাকসিন পাবো। তবে যে গতিতে ভ্যাকসিন পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছেছে তা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।