১৯৯৪ সালের ঘটনা সুইজারল্যান্ড এ বসবাস করতেন জাহিদ তালুকদার মেনন এবং তার বন্ধু এম এ ফারুক প্রিন্স তৎকালীন সময়ের সুইজারল্যান্ড তুখোড় উদীয়মান যুবলীগ নেতা । সে সময়ে প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে এবং সুইজারল্যান্ডে প্রবাসীদের ভোটাধিকার আইন নিশ্চিত করতে এক অনড় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন প্রবাসী জাহিদ তালুকদার মেনন !
কারণ হিসেবে জানা যায়, ২০০০ সালে সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরের তৎকালীন মেয়রের কাছে উত্থাপন করেন প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করণের এবং সেই সময় সুইজারল্যান্ড সরকার ঘোষণা অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড বাসেল শহরে ঘুরে ঘুরে ৪০ হাজার সুইজ জনগনের কাছে থেকে ভোট প্রদানের স্বপক্ষে স্বাক্ষর গ্রহন করেন এম এ ফারুক প্রিন্স এবং জাহিদ তালুকদার মেনন মূল কপি মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন।
যেখানে প্রবাসীদের অধিকার আদায়ের দাবী, ভোট প্রদানের দাবী, রাজনীতি করার যৌক্তিক দাবীসহ অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা ছিলো।প্রবাসীদের পক্ষে সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে ঐতিহাসিক সেই রায় প্রদান করা এবং প্রকাশিত হয়েছে গতকাল ১১ জুন ২০২০ এ। প্রকাশ, তৎকালীন এই গণদাবী সর্বসম্মতি ক্রমে সুইজারল্যান্ড সরকার ভোট করে তাতে ৪৮ হ্যাঁ ভোট এবং ৪৬ না ভোটের মাধ্যমে এই রায় যুক্তিসঙ্গত হওয়ায় এই নৈতিক দাবী পাশ করা হয়েছে। যদিও এই রায় বাস্তবায়ন করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে ।
তৎকালীন সময়ে এম এ ফারুক প্রিন্স ও জাহিদ তালুকদার মেনন এর সাথে যারা সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা করেছেন তারা হলেন, প্রবাসীদের সুইজ বন্ধু নিক পেরিস, তামারা পেরিস, তৎকালীন যুবলীগের অনেকেই। যাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এম এ ফারুক প্রিন্স। এদিকে বাঙ্গালী তৎকালীন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী এবং সুইজারল্যান্ড যুবলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ ফারুক প্রিন্স এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনিউজ৭১ কে জানান, আমি যখন সুইজারল্যান্ড এ ছিলাম তখন একটি বিষয় আমাকে খুব নাড়া দেয় এবং ব্যথিত করেছিলো সেটা হলো, সুইজারল্যান্ড সরকার অনেকটাই কঠোর আইনের দিকে।
তারা আইনের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল। আমি মনে করলাম যে প্রবাসীদের ভোট প্রদানের অধিকার থাকা দরকার এবং তাদের এই ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত হলে তারা কোন প্রকার অধিকার থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। তাই প্রবাসীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমি আমার বিবেককে জাগ্রত করে এই স্বাক্ষর গ্রহন কর্মসূচি হাতে নেই এবং ৪০ হাজার স্বাক্ষর গ্রহন করে তৎকালীন মেয়রের হাতে যৌক্তিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে লিখিতভাবে হাতে তুলে দেই সকল মূল কপি।
কিন্তু আমি অবাক হয়েছি আজ ২০ বছর পর এই দাবীর আদলে সুইজারল্যান্ড সরকার ভোটের মাধ্যেমে স্বপক্ষে রায় গৃহীত এবং রায় ঘোষণা করেন। আলহামদুলিল্লাহ আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করি। আমি প্রবাসী বাঙ্গালিদের নিয়ে সে সময় থেকে ভাবতাম। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে নিজেকে অতদ্র প্রহরীর ন্যায় নিজেকে সদা জাগ্রত রাখার চেষ্টা করি। আমি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে তখন আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। আমি ধন্য আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাই আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আমি যখন তুরষ্ক আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলাম, তখনো আমি প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী- অধিকার আদায়ের লক্ষ্য অনড় ভূমিকায় ছিলাম। মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকুরিয়া আদায় করি। আমরা বাঙ্গালী আমরা বীরের জাতী। আমরা আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে বদ্ধ পরিকর। সুইজারল্যান্ড সরকার কে আমি আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এতদিন পরে হলেও আমার নৈতিক ও যৌক্তিক দাবীর রায় ভোটের মাধ্যেমে ঘোষণা করার জন্য। দেরিতে হলেও এর যথার্থতা বুঝতে পেরেছেন সুইজারল্যান্ড সরকার।
আমার শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি প্রবাসীদের অধিকার, দাবী, নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে এবং আদায়ের লক্ষ্যে আমি আমার স্বাধ্যমত কাজ করে যাবো। এটাই আমার দৃঢ় সংকল্প ও প্রত্যয়। যেহেতু আমি একজন প্রবাসী তাই প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণে এবং অধিকার আদায়ে আমার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।