যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের প্রতি চারজনের একজন করোনায় আক্রান্ত!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৩০শে মার্চ ২০২০ ০৭:১৮ অপরাহ্ন
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকদের প্রতি চারজনের একজন করোনায় আক্রান্ত!

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতালিতে অন্তত ৬১ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন।  আর গত দুই দিনে ১১ জন চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। মেডিক্স ফেডারেশন এফএনওএমসিইও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটির ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেশটিতে চিকিৎসকদের মৃত্যুর বিষয়টি নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, করোনায় মারা যাওয়া চিকিৎসকদের বেশির ভাগই ইতালির লম্বার্ডি অঞ্চলে কাজ করতেন। আর বাকি সব নেপলস (দক্ষিণ ইতালি), এমিলিয়া রোমাগনা (উত্তর ইতালি) এবং মারচেতে (মধ্য ইতালি) এলাকায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

চীনের পর করোনা সবচেয়ে ভয়াল থাবা বসিয়েছে ইতালিতে। এই মারণ ভাইরাসের কালো থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি। প্রতিদিনই দেশটিতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছেন। আক্রান্তও হচ্ছেন শত শত মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতশ ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার সাতশ ৭৯ জনে। ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতালিতে প্রায় সবকিছু বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার দু’শ ১৭ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ছয়শ ৮৯ জনে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। ১৩ হাজার ৩০ জন এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এদিকে, করোনার হানায় বেহাল যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি এখন ডাউনিং স্ট্রিটে 'সেলফ আইসোলেশনে' আছেন বলে জানানো হয়েছে। গতকালই তিনি জানিয়েছেন করোনাভাইরাস সঙ্কট ভালো হওয়ার আগেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

করোনার এই মহামারির সময়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের চিকৎসক-কর্মীরা। তবে তাদের মধ্যেও ছড়িয়েছে করোনার আতঙ্ক। কারণ দেশটির হেলথ সার্ভিসের প্রতি চারজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন অসুস্থ। তাদের মধ্যে আবার কেউ ছুটিতে রয়েছেন আবার কেউ রয়েছেন আইসোলেশনে। দেশটির রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্সের (আরসিপি) প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।

আরসিপির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর অ্যান্ড্রু গডডার্ড বলেন, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ২৫ শতাংশ চিকিৎসক সেবা দিতে পারছেন না। হয় করোনার কারণে অসুস্থ হয়ে আইসোলেশনে রয়েছে না হয় পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে কাজ করতে পারছেন না। এই কারণে লন্ডনে চিকিৎসাসেবার মারাত্মক ক্ষতি হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব