গোপনে করোনার কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করেছে চীন!
শান্তির সুবাতাস বইছে না কোথাও, বিশুদ্ধ অক্সিজেনের আজ বড়ো অভাব। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয়ার্ত ভয়াল থাবা গ্রাস করেছে মুখরিত পৃথিবীবাসীকে। সর্বত্রই নিস্তব্ধ-নিথর-পাথর সময় শোকস্তব্ধ মানুষের। মানব সভ্যতার সামনে সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের নাম COVID-19। করোনার ছোবলে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, গবেষকরা এর প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত। এখনও পর্যন্ত সেভাবে সাফল্য আসেনি। কিন্তু চীনের গবেষকদের দাবি, তারা করোনা রোখার সবচেয়ে কার্যকারী অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন। যা কিনা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত উপকারি হতে পারে।
সম্প্রতি, Global Times নামের চীনের এক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, চীনা বিজ্ঞানীদের একটি দল করোনাকে ধংস করার মোক্ষম পথ পেয়ে গিয়েছে। কোনও ওষুধ বা টিকা নয়, চীনা গবেষকরা তৈরি করেছেন একটি ন্যানোমেটেরিয়াল (Nanomaterial), যা কিনা করোনার জীবাণু শুষে ফেলতে পারে বা এর কার্যক্ষমতা ৯৬.৫-৯৯.৯% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এই ন্যানোমেটেরিয়ালটি উৎসেচকের মতো কাজ করে।
এই ন্যানোমেটেরিয়াল দিয়ে পেন্ট, ফিল্টার, ইনসুলেশনের মতো জিনিস তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই চীনের ওই গবেষকদল নাকি বিভিন্ন সংস্থার সাথে কথা বলছে এই ন্যানোমেটেরিয়াল দিয়ে মাস্ক এবং চিকিৎসকদের জন্য PPE বানানর জন্য। যদিও, চীনের বাইরে থেকে এ খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে এটা যদি সত্যি হয় তাহলে বুঝতে হবে উৎসস্থলেই সমাপ্তির পথে করোনা ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের দাপট সবার প্রথমে দেখা যায় চীনেরই ইউহান প্রদেশে। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারক ভাইরাসটি। আপাতত চিনে এর সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রভাব মারাত্মক। ইতিমধ্যেই করোনার জেরে পৃথিবীতে প্রায় ৩১ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে।মুশকিল হল, ভাইরাসটির উৎপত্তি এবং চরিত্র সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছে তেমন কোনও তথ্য নেই। বিজ্ঞানীদের একটা অংশ দাবি করেন, এটি কোনও প্রাকৃতিক সংক্রমণ নয়, বরং মনুষ্য সৃষ্ট। জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চীনই তৈরি করেছে ভাইরাসটি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।