নভেল করোনাভাইরাসের আঁতুড়ঘর চীন। গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে উৎপত্তি হয়ে আজ এ ভাইরাস বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। শুধু চীনেরই করোনা রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে অনেক আগেই।
ভাইরাসটি আতঙ্কে রূপ নিলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চীন। আর এখন সেই চীনেই নেই করোনা আতঙ্ক। দেশটির ১৩টি প্রদেশে কভিড-১৯ কোনো রোগীর সন্ধান মেলেনি। সোমবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি এই সুসংবাদ দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে - তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, কিংহাই, ফুজিয়ান, আনহুই, চিয়াংসি, শানজি, হুনান, জিয়াংসু, চংকিং, গুইজু, জিলিন এবং তিয়ানজিন মিউনিসিপ্যালটিতে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। নতুন করে কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিদ্ধস্ত হুবেই প্রদেশেও কমে এসেছে এর প্রকোপ। আক্রান্তরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে হাতে গোনায় চলে এসেছে। যে কারণে করোনা রোগীদের সেবাদানে অস্থায়ী কয়েকটি হাসপাতাল বন্ধ করা হয়েছে।
তবুও বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে হুবেই প্রদেশ। অঞ্চলটির সরকার জানিয়েছে, উহানসহ হুবেই প্রদেশে করোনা প্রকোপ কমে আসলেও ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব যে কোনো অঞ্চলে যেকোনো সময় আবার শুরু হতে পারে। তাই এখনই হাত-পা গুটিয়ে ফেলছি না আমরা।
প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়েছে। এরপরই এটি দ্রুত মহামারী আকার ধারণ করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৭৫ জনে।
শুধু ইতালিতেই গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩৬৮ জন, যা এ পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। চীনসহ বিশ্বে ১৫৬ দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৮ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৫ হাজার ৯১০ জন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।