করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৫০০ ছাড়িয়েছে। সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। বিবিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতের তালিকা হংকং, ফিলিপাইন্সের নাগরিকরাও রয়েছেন। প্রতিদিন বাড়ছে নভেলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। তবে কিছুটা হলেও আশার খবর শোনাচ্ছে সে দেশের হাসপাতালগুলো। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন।
চীন থেকে ইতিমধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এমন পরিস্থিতিতে একমাসেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে চীনের অর্থনীতি। বলা হচ্ছে, ৩০ বছরের ইতিহাসে সব থেকে তলানিতে দেশের অর্থনীতি। যা চীনের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা।
জানা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে চীনের সংস্থাগুলিতে হঠাৎ করেই কমে গিয়েছে লাভের পরিমাণ। ভাইরাসের আতঙ্কে বাইরের বিভিন্ন সংস্থাও চীনে থাকা অফিসগুলোর ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত কর্মীদের ফিরিয়ে আনছে সেখান থেকে। কমিউনিস্ট চীনের শেয়ার বাজারেও বড় পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অর্থনীতির কারবারিরা বলছেন, গত একমাসে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের জন্যে ৪২০ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মূল্যে ৩৫ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা চীনের জন্যে যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে বিশাল এই ক্ষতি মোকাবিলা করা যায় তা রীতিমত চ্যালেঞ্জের কমিউনিস্টদের কাছে।
এদিকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ভারতের, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের সঙ্গেও চীনের সীমান্ত। নেপাল, ভারত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ায় দুটি দেশেই জারি বিশেষ সতর্কতা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।