টুইটারে দেওয়া পোস্টে কয়েকটি ভাঙা জানালার ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। টুইটে বলা হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর ফের লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভবন চত্বরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানভিত্তিক জিও টিভি জানিয়েছে, এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে #কাশ্মির_ফ্রিডম_মার্চ (#KashmirFreedomMarch)। এতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত। বিক্ষোভকারীরা অধিকৃত অঞ্চলটিতে ভারতীয় বাহিনীর কারফিউ এবং সরকারের চাপিয়ে দেওয়া যোগাযোগ বিপর্যয়ের শিকার মানুষদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর ১২টার দিকে বাসযোগে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পার্লামেন্ট স্কয়ার এলাকায় জড়ো হন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশন অভিমুখে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা উপত্যকা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া এবং সেখানে ভারতীয় বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবিতে আওয়াজ তোলেন। জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-এর ডাকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সমর্থন দেয় যুক্তরাজ্যের সবকটি পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি সংগঠন। যুক্তরাজ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ, মুসলিম লীগ, পিপলস পার্টি, জামায়াতে ইসলামীর মতো রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা সংগঠনের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।
এর আগে গত ১৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের প্রতিবাদে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশন ঘিরে বিক্ষোভ করেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। দিল্লির সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি পতাকা হাতে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা কাশ্মির ইজ বার্নিং; ফ্রি কাশ্মির; মোদি ইজ হিটলার; কাশ্মির ওয়ান্টস ফ্রিডম; মোদি: মেক টি নট ওয়ার প্রভৃতি স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে দিল্লি। কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চাপ দেওয়া উচিত জাতিসংঘের।
সুমাইয়া শাহ নামের এক নারী জানান, কাশ্মিরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। কারণ পুরো কাশ্মিরের জনগণকে লকডাউন ও কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছে ভারত। আমি জানি না, বাবা-মায়ের ওষুধ ও খাবার আছে কিনা। আমার মায়ের ডায়বেটিক, তিনি ইনসুলিন নিচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ওই দিন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কাশ্মির। মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে সেখানকার জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।