‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্লোগানে উত্তাল কাশ্মীর!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২৫শে আগস্ট ২০১৯ ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্লোগানে উত্তাল কাশ্মীর!

এই মুহূর্তে কাশ্মীর অঞ্চলে আটক অবস্থায় রয়েছে শত শত নেতা, ঐ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন শাহ ফয়সাল। কাশ্মীরের বিশেষ ম’র্যাদা বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই এসব নেতাদের অধিকাংশকে গ্রে’প্তার করা হয়। ভারতের কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে বিতর্কিত ঐ অঞ্চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরণের অ’ভিযান পরিচালনা করতে হয়েছে তাদের। এরপরই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। যার কারণে উত্তাল হয়ে ওঠে উপত্যকা। সম্প্রতি কাশ্মীরে স্থানীয়রা বি’ক্ষোভ শুরু করেছে। বেশ বড় আকারের এই বি’ক্ষোভে সমবেত জনতার ওপর ছররা গু’লি ছোঁড়ে ভারতীয় সেনা। বিবিসি এই খবর প্রকাশ করলে ভারত অস্বীকার করে। কিন্তু বিবিসি সেই বি’ক্ষোভে গু’লি ছোঁড়ার ভিডিও প্রকাশ করে।

সেখানে দেখা যায় হাজার হাজার কাশ্মিরী জনগণ বি’ক্ষোভের জন্য সমবেত হয়। সেই সময় তাদের ওপর ভারতীয় সেনারা ছররা গু’লি ছোঁড়ে। এসময় বি’ক্ষোভকারীদের গু’লি এড়াতে মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এই খবর প্রকাশ করলে ভারত বিষয়টি অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, এই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিবিসিকে তোপ দাগে ভারতীয় জনগণ। পরে বিবিসি তাদের ওয়েবসাইটে কাশ্মীরের সেই বি’ক্ষোভের ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে বি’ক্ষোভকারী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তাদের সর্বোচ্চ উচ্চারিত বাক্য ছিল ‘উই ওয়ান্ট ফ্রিডম।’ এছাড়াও আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে সমস্ত এলাকা।

বি’ক্ষোভ সমাবেশে একজন চিৎকর করে বলছিলেন, ‘আপ কিয়া চাহতেহে?’ বাকিরা সমস্বরে গলা মিলিয়ে বলছিলেন, ‘আজাদি’, আবার ওইজন বলছিলেন, ‘আজাদি কা মতলব কিয়া’, বাকিরা সমস্বরে বলছিলেন ‘লা ইলাহা ইল্লাললা।’ বি’ক্ষোভে ভারতকে ফিরে যাওয়ার কথাও বলা হচ্ছিল, বলা হচ্ছিল, ‘গো ব্যাক ইন্ডিয়া।’

বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার পরপর ভারত শাসিত কাশ্মীরের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদকে, যিনি আগে কূটনীতিক ছিলেন দিল্লিতে গ্রে’প্তার করে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। শাহ ফয়সালকে বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে আ’ট’ক করা হয়। সেসময় তিনি একটি বিমানে উঠতে যাচ্ছিলেন। কাশ্মীর অঞ্চলে আ’ট’ক অবস্থায় রয়েছে শত শত নেতা, ঐ তালিকায় যুক্ত হলেন শাহ ফয়সালও। কাশ্মীরের বিশেষ ম’র্যাদা বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই এসব নেতাদের অধিকাংশকে গ্রে’প্তার করা হয়। কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও অ্যাক্টিভিস্ট, শিক্ষক এবং ব্যাবসায়ীদেরও আ’ট’ক করা হয় অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের আগে এবং পরে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব