প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১৮:১৩
গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যারা কাজ করছেন তাদের কয়েকজনের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাননি, তবে তার বক্তব্যে গাজায় আশার আলো দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়াবলীর মন্ত্রী রন ডেরমার শিগগিরই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। সেখানে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে গাজা ও ইরান ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান সংকট প্রশমিত হওয়ার পর গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে তেলআবিবের ওপর চাপে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে ইসরায়েলের ওপর এক ধরনের কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। তিনি চান, আব্রাহাম চুক্তির আওতায় আরও আরব দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আনতে। এজন্য সংঘাত বন্ধ করা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করা জরুরি বলেও মনে করছেন তিনি।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই 'গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন'-এর মাধ্যমে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। তিনি জানান, “আমরা সরাসরি যুদ্ধের অংশ না হলেও, আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। কারণ বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, যাদের আমরা রক্ষা করতে চাই।”
তবে তিনি সতর্ক করেন, কিছু দুর্বৃত্ত গাজায় ত্রাণ লুটপাট করছে। তারপরও ফাউন্ডেশনটি গঠনমূলক কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। এই সহায়তা যেন প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে পৌঁছে, সেদিকে নজর রাখা হবে বলেও আশ্বাস দেন ট্রাম্প।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই কৌশল মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব ফের জোরদার করতে পারে। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বজনমতেও ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন দেখার বিষয়, এই প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হয় এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে শান্তির সম্ভাবনা কতদূর এগোয়।