প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১৮:১১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যখন উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঠিক তখনই কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সফরের ঘোষণা দেন এবং জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সরাসরি বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে ইরান সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোরবেলায় ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্পিরিট বিমান থেকে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার পরপরই তেহরান কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং ইরান এর জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলা কেবল কূটনৈতিক অগ্রগতির বিপরীত নয়, বরং একটি পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসন।
রাশিয়া এ অবস্থানে ইরানের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, বারবার জানানো হয়েছে যে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির কোনো পরিকল্পনা নেই। অথচ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সেই ‘অজুহাত’ দিয়েই হামলার পথ বেছে নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতিন-আরাঘচির বৈঠকে সাম্প্রতিক হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে।
তেহরান থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বারবার কূটনৈতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনে মদদ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এখন এমন এক নীতিতে চলছে যেখানে আইন, নৈতিকতা ও আন্তর্জাতিক নিয়ম শূন্য হয়ে পড়েছে। ইরান এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অধিকার রাখে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাঘচির মস্কো সফর শুধু একটি কূটনৈতিক তৎপরতা নয়, বরং আসন্ন সংঘাতের আগে ইরান-রাশিয়া জোটের অবস্থান স্পষ্ট করার একটি বড় পদক্ষেপ। এই বৈঠক ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিতে বড় কোনো সামরিক কিংবা কূটনৈতিক মোড় আনার ইঙ্গিত বহন করতে পারে।