প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:৪৫
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ দ্রুত এগিয়ে আসছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ঝড়টি বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে এটি ক্যাটাগরি-২ পর্যায়ে রয়েছে এবং শীঘ্রই ক্যাটাগরি-৩-এ পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, ‘এরিক’ দক্ষিণ মেক্সিকোর উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ঝড় ও আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ওয়াঝাকা ও গুয়েরেরো রাজ্য সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ওই এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
মেক্সিকোর নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান লরা ভেলাজকুয়েজ জানান, উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে ঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষত চিয়াপাস, গুয়েরেরো ও ওয়াঝাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে থেকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি সরকার ও জরুরি বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বছর অক্টোবরের শুরুতে ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ‘ওটিস’ আকাপুলকোতে আঘাত হানায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ ঝড়ের গতিপথ ও গতিবেগের ওপর নজর রাখছে। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে নাগরিকেরা ঝুঁকি এড়াতে পারে। নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলাই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মেক্সিকোর বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রতিটি মানুষকে সচেতন ও প্রস্তুত থাকার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় সচেতনতা এবং সময়মতো পদক্ষেপই এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।