প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০:৫৬
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ যখন চরমে, তখন ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতি আরও কড়া বার্তা এসেছে। মঙ্গলবার ইরানের সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মোসাভি ঘোষণা দিয়েছেন, খুব শিগগিরই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ সামরিক অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের ওপর এখন পর্যন্ত যেসব হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো কেবলমাত্র সতর্কবার্তা ছিল। আসল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এখনো বাকি রয়েছে, যা শিগগিরই কার্যকর করা হবে।
মোসাভি বলেন, ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আগের অভিযানগুলো কৌশলগত ছিল। এগুলোর লক্ষ্য ছিল আগাম সতর্কতা দেওয়া ও শত্রুপক্ষকে পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে নিবৃত করা। তবে এখন সময় এসেছে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার।
তিনি এক প্রকার হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সাধারণ জনগণ যেন ইসরায়েলের নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত না দেয়। এজন্য বিশেষভাবে তেলআবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এসব এলাকা অবিলম্বে ত্যাগ করা উচিত।
ইরানের সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ও সামরিক প্রস্তুতির খবর আসছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের এই ঘোষণা কেবল কথার হুমকি নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপের প্রাকঘোষণা হতে পারে। এর ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নতুন করে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তেলআবিব ও হাইফার মতো জনবহুল শহরগুলোতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সরকার এখনো ইরানের এই হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।