প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১১:৪১
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই তথ্য সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে জানায় আইডিএফ। এই হামলার বিষয়ে ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি, তবে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এটি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের নতুন এক ধাপ।
কুদস ফোর্স মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন এবং সিরিয়ায় ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের সমর্থন ও পরিচালনা করে। এই বাহিনীর সদর দপ্তরে সরাসরি হামলা ইরানের জন্য কৌশলগতভাবে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতে এই ধরনের হামলা সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা তেহরানের মতো কৌশলগত রাজধানী শহরে হওয়ায় বিষয়টি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা আঘাত হেনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মধ্য ইসরায়েলের স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে এবং বহু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন জানায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় এবং বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রোধে একাধিক টিম জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে। পাশাপাশি অবকাঠামো মেরামতের কাজও চলছে যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক মহল দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধকে বিশ্বব্যাপী সংঘাতে পরিণত করতে পারে। কুদস ফোর্সের মতো সংবেদনশীল ইউনিটের উপর হামলা ইরানকে কঠোর প্রতিক্রিয়ায় প্ররোচিত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং মানবিক বিপর্যয় এড়াতে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ শান্তিপূর্ণ আলোচনার লক্ষণ দেখায়নি, বরং উভয়ই নিজেদের অবস্থানে অনড়।
মেটা কী-ওয়ার্ডস: