প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১৯:১৮
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তাল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত বহু সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে উভয়পক্ষেই। আকাশ ও স্থলপথে চালানো হামলা ঘিরে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধের আতঙ্ক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। যুদ্ধ এখন আর কেবল দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে।
সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, পাকিস্তান ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলো ইসরায়েলের ওপরই উত্তেজনা সৃষ্টির দায় চাপিয়েছে। তারা একযোগে ইসরায়েলের দখলদার মনোভাবকে দায়ী করে অবিলম্বে সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। দেশগুলো শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য কূটনৈতিক পথ অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে।
ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ তিন দেশ—জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য—মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়। এই তিন দেশ মনে করছে, উত্তেজনা প্রশমনে তেহরানের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে জানান, তারা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত নিরসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, ইরান যদি গঠনমূলক আলোচনায় অংশ না নেয়, তাহলে সংকট আরও গভীর হবে।
তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে ইরান এই অঞ্চল, ইসরায়েল কিংবা ইউরোপের জন্য আর কোনো হুমকি না হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনাই একমাত্র উপায় বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াদেফুল আশা প্রকাশ করেন, ইরান এখনও আলোচনার পথে আসতে পারে। তিনি জানান, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একযোগে তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতাই এখন নির্ধারণ করবে, এই আগুন ছড়িয়ে পড়বে না নিভে যাবে।