প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১১:৫৫
চলতি মাসের ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপানের নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে গত কয়েক বছরে ভারতকেও নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হতো, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু এবার মোদিকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো নরেন্দ্র মোদি জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে ধারণা করছেন কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা। এতে স্পষ্ট যে, ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কানাডার সঙ্গে বর্তমানে কিছুটা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের এক বিতর্কিত বক্তব্যের পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে নেমে আসে। ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যায় ভারতীয় সরকারি এজেন্টদের জড়িত থাকার কথা। ভারত এই অভিযোগ অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করলেও, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
এরপর উভয় দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দুর্বল করে তোলে। কূটনৈতিক টানাপোড়েনের এই ধারাই এবার জি-৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার পেছনে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জাস্টিন ট্রুডোর দল ‘কার্নি’ ক্ষমতায় আসার পর দুদেশের সম্পর্ক উন্নতির আশা তৈরি হয়েছিল। তবে এখনো পুরোপুরি ভিত্তি তৈরি হয়নি, যা কূটনৈতিক শিথিলতার পথে বড় বাধা।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে আরও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।
জি-৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি শুধু ভারত-কানাডার নয়, গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি ইঙ্গিত যে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে শান্তি ও সহযোগিতার বিকল্প নেই। আগামী দিনগুলোতে এই সংকট কিভাবে মিটবে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর কাড়েছে।