আমাদের ওপর আক্রমণ হলে ভারতকে ধুলায় মিশিয়ে দেবো – পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

খাজা আসিফ আরো বলেন, "যদি পাকিস্তানিদের ওপর হামলা হয়, তবে ভারতীয় নাগরিকেরাও নিরাপদ থাকবে না।" তার এই মন্তব্যে ভারতকে স্পষ্ট সতর্ক করা হয়েছে যে, পাকিস্তান নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করে এবং কোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনি বলেন, "আমরা কখনও ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে না পড়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।"

তিনি আরও যোগ করেন, "ভারত যদি পাকিস্তানের কোনো শহরে হামলা চালায় বা পাকিস্তানি নাগরিকদের ক্ষতি করে, তাহলে আমরা তত্পর হতে বাধ্য হব।" খাজা আসিফ ভারতকে আফগানিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগও এনেছেন, এবং কুলভূষণ যাদবকে ভারতের সন্ত্রাসবাদ-এর জীবন্ত প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরে হামলার পর। এই হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হয়। ভারত সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তীব্রভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হামলাকে 'ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন' বলে উল্লেখ করেছে। এর পরদিনই ভারত পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার পদক্ষেপ নেয়। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিত এবং আকাশসীমা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।

এই পালটাপালটি পদক্ষেপের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি যে সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের এই খারাপ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। 

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের এই উত্তেজনা এখন নজরবন্দী, এবং শীঘ্রই এই পরিস্থিতির কোনো সমাধান না হলে, তা যুদ্ধের পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।