দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনের ছুটির পর পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে, ফলে সরকারি ছুটি থাকায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে রবিবার সকাল থেকে পূর্বের নিয়মে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
অন্যদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহের সাত দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন। তাই শবে বরাতের ছুটির দিনেও যাত্রী পারাপারে কোনো বাধা ছিল না।’
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, এক দিনের ছুটির পর বন্দরে আবারো কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরেছে। তারা বলেন, হিলি বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ, চাল, গম, ডাল, ফল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে থাকে। দীর্ঘ সময় বন্দর বন্ধ থাকলে বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে এক দিনের ছুটি ব্যবসার ওপর তেমন প্রভাব ফেলেনি।
এদিকে, বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পাশাপাশি ভারতীয় ট্রাক চালকরাও জানান, পুনরায় কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তারা স্বস্তি পেয়েছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তারা নিয়মিত কাজ করতে পারবেন, যা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বন্দর দিয়ে কয়েকশ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং ভারতীয় গন্তব্যের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি ট্রাক পণ্য নিয়ে দেশত্যাগ করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকারি ছুটির কারণে এক দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তা ব্যবসার ওপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। তারা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।