রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারসহ ছয়জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি বালুবাহী বাল্কহেড থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার ওমরাপুর ও আটিয়া সলংগী এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম, মো. মোকছেদ আলী, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. জামরুল ইসলাম, মো. আব্দুল কাদের ও মো. আব্দুর রহমান। এরা দীর্ঘদিন ধরে নদীতে চলাচলকারী বাল্কহেড থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছিল বলে জানায় পুলিশ।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এনামুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চাঁদাবাজরা আলোকদিয়ার চরে অবস্থান নিয়ে বাল্কহেড থেকে টাকা তুলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। পুলিশ দেখে চাঁদাবাজরা পালানোর চেষ্টা করে, তবে ধাওয়া দিয়ে দুটি ট্রলারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি নদীতে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। বাল্কহেড মালিক ও চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে তারা নদীপথে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।
এমন অভিযানের ফলে নদীপথে চলাচলকারী মালবাহী নৌযানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগেও নৌ পুলিশের অভিযানে পদ্মা ও যমুনা নদীতে চাঁদাবাজ চক্রের কয়েকজন সদস্য আটক হয়েছিল। তবে নতুন করে আবারও এমন চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় হওয়ায় বাল্কহেড মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। পুলিশের দ্রুত অভিযানে চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।