২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারত পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশের আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, সম্প্রতি ভারত সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তার ভিসার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে, তবে এর তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল, তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই নিশ্চিত করা হয়নি। ভারতে শরণার্থী বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন না থাকলেও, এই প্রক্রিয়া অনেকের কাছে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার, গত ২৩ ডিসেম্বর, ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছিল। তবে এই পদক্ষেপকে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগী ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে বলেছে।
এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে আরো বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।