ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স। চলতি বছরের জুন মাসেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটির সরকার। বুধবার ফরাসি এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এ বিষয়ে ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, এটি কারও মন রক্ষা বা রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে নয়। বরং সময় ও বাস্তবতা বিবেচনায় ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দেওয়াটাই সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন তিনি। এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নতুন করে শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখার আশা করছে ফ্রান্স।
মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ম্যাক্রোঁ আরও জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে হয়তো তার বিনিময়ে আরও কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলকেও রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে পারে। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনায় এমন সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৫০টির বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা বিশ্বের বড় দেশগুলো এখনও সেই স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও সহিংসতার কারণে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব, ইরান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলো। এই বাস্তবতায় ফ্রান্স চাইছে, পারস্পরিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে একটি নতুন উদ্যোগ নিতে।
ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, তাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যেই সৌদি আরবের সহযোগিতায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার। সেখানে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বীকৃতির বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্রান্সের এমন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। একইসঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের পথে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও খুলে যেতে পারে।