গাজার আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৮

গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় বুধবার রাতে চালানো এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পরপরই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন বহু মানুষ। উদ্ধারকাজে নামে স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, নিহত ৩৮ জনের মধ্যে আটজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৫ জনেরও বেশি। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যেও নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিখোঁজদের খোঁজা হচ্ছে।

এদিকে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গত তিন সপ্তাহের এই হামলায় ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। তখন গাজায় কিছুটা শান্তি ফিরে এলেও সেনা প্রত্যাহার ও হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের শুরু হয় হামলা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইসরায়েলের এসব হামলা পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িকে টার্গেট করে চালানো হচ্ছে। এতে শিশু ও নারীদের মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এদিকে, ইসরায়েলের এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহল। তারা দ্রুত এই বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এসব হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে।