নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় সারা দেশের ন্যায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হয় প্রথম দিনের পরীক্ষা, যা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
উপজেলার মোট পাঁচটি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো—চকময়রাম সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ধামইরহাট সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ধামইরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধামইরহাট ছিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা এবং জগদল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও ১১ জন অনুপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সচিবরা। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যথাক্রমে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ইলিয়াস আলম, প্রধান শিক্ষক এস এম খেলাল ই রব্বানী, আব্দুর রহমান ও সাবিহা ইয়াসমিন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দায়িত্বে ছিলেন যুব উন্নয়ন অফিসার কামরুজ্জামান সরদার, সমাজসেবা অফিসার এ টি এম ফসিউল আলম, একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল কুমার সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিৎ কুমার কুন্ডু এবং পল্লী উন্নয়ন অফিসার রামানন্দ সরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ জেসমিন আক্তার বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সু-শৃঙ্খল পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজন করেছি। শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন এবং কোথাও কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার পরিবেশ নিয়েও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় পুরো উপজেলায় পরীক্ষার একটি সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হয়। সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধামইরহাটে পরীক্ষার প্রথম দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষক, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং আশা করছেন যে, পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও এ পরিবেশ বজায় থাকবে।