তুরস্ক থেকে যুদ্ধ ট্যাংক কেনার বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের নতুন উত্তাপের কারণ হয়ে উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ওপর ভারতের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে। পাশাপাশি, ভারতের অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়েও ভারত অসন্তুষ্ট।
এরই মাঝে তুরস্ক থেকে ট্যাংক কেনার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। রণধীর জয়সোয়াল জানান, নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোতে ভারত যথেষ্ট সতর্ক এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যুতেও বাংলাদেশকে বার্তা দিয়েছে ভারত। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা বাংলাদেশের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গেও ভারত মন্তব্য করেছে। রণধীর জয়সোয়াল জানান, বাংলাদেশ থেকে এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকতা পূরণ না করেই শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি করেছে। শুধু একটি ‘ভার্বাল নোট’ দিয়েই দাবি জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের অনানুষ্ঠানিক দাবির প্রেক্ষিতে ভারতের জবাব দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
তুরস্ক থেকে ট্যাংক কেনা এবং শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন ভাটার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দুই দেশের পারস্পরিক উত্তাপ এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।