পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রাতের অন্ধকারে কৃষক আবু ছালেহ মৃধার প্রায় আড়াই শতাধিক ফলন্ত লাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন কৃষক ও তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে, ট্যুরিস্ট পুলিশ অফিসের পাশে। কৃষক আবু ছালেহ জানান, তিনি ১ একর ২০ শতক জমিতে ৩৮০টি লাউসহ চাম্বল, রেইনট্রি, আম ও অন্যান্য ফলদ-বনজ গাছ রোপণ করেছিলেন। প্রতিটি গাছে লাউ ধরেছিল। দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে ৬০ শতক জমির প্রায় সব গাছ কেটে ফেলে। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কৃষক আবু ছালেহ মৃধার জামাতা নুরুল আমিন গাজী অভিযোগ করেন, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী গাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। নুরুল আমিনের দাবি, ইউসুফ আলী গাজী ও তার পরিবারের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে ইউসুফ আলী গাজী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা জানি না। বরং আবু ছালেহ গং আমার ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল করেছে। আমার ধারণা, তারা নিজেরাই গাছ কেটে আমাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”
এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ তারা পাননি। তিনি বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কৃষক আবু ছালেহ মৃধা এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।