রাজনীতিতে নতুন উত্তাপের নাম লবিস্ট নিয়োগ। যার শুরুটা হয় স্বৈরাচার এরশাদের হাত ধরে। ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ঢাকার রাজনীতির মুখরোচক তথ্য, কোন দল কত টাকা দিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মকে। তবে দেশটিতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। পণ্য থেকে রাজনীতি সব বিষয়ে নীতিনির্ধারকের মন জয়ের উপায় বের করেন লবিস্টরা।
চায়ের বাজার থেকে তৈরি পোশাক, রাজনীতি কিংবা অর্থনীতির নানা সুযোগ সুবিধা নিতে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মন জয় জরুরি। আর এই মন জয়ে প্রয়োজনীয় আর্থিক লেনদেনের বৈধ মাধ্যম লবিস্ট প্রতিষ্ঠান।
দেশটির বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সংক্রান্ত মোট ২৫১টি লবিস্ট ফাইলের সন্ধান মিলেছে। মার্কিন বাজারে এদেশের চায়ের প্রসারে ১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ৫ হাজার ডলার ফি দিয়েছিলেন এক লবিস্ট ফার্মকে। এছাড়া বিমান-বিজিএমইএসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লবিস্ট নিয়োগ করেছে নানা সময়ে।
তবে পণ্যের বাইরে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে বিভিন্ন দলের লবিস্ট নিয়োগ জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সরকারের বৈধতা দিতে ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের হাত দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের যাত্রা শুরু। তখন এক লাখ ৮ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ দেয় ব্যানারম্যান নামের এক প্রতিষ্ঠানকে।
২০০৪ সালে অ্যালকাড্যাল অ্যান্ড ফ্যা নামের এক লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ। উদ্দেশ্য বিএনপি জঙ্গীবাদের প্রসারে কাজ করছে। তেমনি তথ্য মেলে ২০১৯ সালে ব্লুস্টার স্ট্যাটেজিসসহ বিএনপির একাধিক লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের। অভিযোগ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হত্যা করছে গণতন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ এর বেশি লবিস্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের। বাজারের আকার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশটির সংবিধানের প্রথম সংশোধনিতে ১৭৯১ সালে লবিস্টদের অধিকার, কার্যপ্রণালী এবং বিধিনিষেধ নিশ্চিত করা হয়।
২০০৬ সালে এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আনা হয় লবিস্ট আইনে সংশোধন। যোগ করা হয় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা। ফলে লবিস্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য মার্কিন বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে সব তথ্য তুলে ধরতে।
গত বছরের শেষদিকে ফ্রাইডল্যান্ড নামে একটি মার্কিন ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ দূতাবাস। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিমাসে দেয়া হচ্ছে ৪০ হাজার ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।