বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করার দাবিতে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। মাহিন সরকার লিখেছেন, "বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ব্যর্থতা। চার মাস পেরিয়ে গেলেও কমিশন গঠনে গড়িমসি করা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি অবহেলা এবং প্রহসনের শামিল।"
এদিকে, তিনি জানিয়েছেন যে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল সকাল ১১টায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ঘোষণা প্রকাশের পর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, "আমি আমার ভাই মাহিনের পাশে আছি। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে।" তিনি 'আইএমউইথমাহিন' হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেছেন তার পোস্টে।
মাহিন সরকার তার পোস্টে আরও জানিয়েছেন, "যদি কেউ আমার পাশে না-ও থাকে, আমি একাই লড়াই করব। কোনও ভিনদেশী পরাশক্তি বা অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমাকে বাধা দেয়, তবুও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার লড়াই থেকে পিছু হটব না।" তিনি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের প্রতি সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, "ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে নিজেদের অর্জন বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এবং এর পাশাপাশি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে সরকারের উদাসীনতা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমি কোনো দীর্ঘসূত্রিতা মেনে নেব না এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।"
মাহিন তার কর্মসূচিতে সকল সচেতন ছাত্র-নাগরিককে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু—এই মানসিকতা নিয়ে আমরা লড়াই করব।"
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার কার্যক্রম এখনও একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। মাহিন সরকারের দাবি, সরকারের উদাসীনতা এবং সময়ক্ষেপণের ফলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে, যার কারণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।