চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রোববার (৩ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, চাল আমদানিতে শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে চালের আমদানির খরচে কমেছে প্রায় ২৫ টাকা ৪৪ পয়সা।
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চালের বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০ অক্টোবর থেকে চাল আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ এবং আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়। ফলে মোট করভার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নেমে আসে।
এছাড়া, ৩১ অক্টোবর বিশ্ববাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অবশিষ্ট আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অগ্রিম আয়করের হার ৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে আমদানিতে কেবল ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হবে এবং আর কোনো শুল্ক বা কর দিতে হবে না।
এনবিআর আশা করছে, এই পদক্ষেপ চালের আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করবে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষের জন্য চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।
স্থানীয় বাজারের ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, এই পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনগুলোতে চালের মূল্য স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ও আশা করছে, বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমবে এবং মানুষের খাদ্য সংকট দূর হবে।
সুতরাং, সরকারের এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।