প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২২, ২:১৩
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বভাবে বেয়াদব বাঘের। জানা গিয়েছে, রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানের টি-১০৪ নামে বাঘটির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। কারণ সে বারবার মানুষ হত্যা করেছে। এছাড়াও নিজের প্রজাতির সঙ্গেও বনিবনা নেই তার।
জাতীয় উদ্যানের কর্মীরা জানিয়েছেন, বাঘটি স্বভাবে ভীষণই উগ্র। কাউকে দেখলেই সে তেড়ে যায়। যার ফলে তার সঙ্গে প্রায়ই লড়াই লাগত এলাকার অন্য বাঘেদের। প্রবল শক্তিশালী ওই বাঘের সঙ্গে লড়াই ওত সহজ ব্যাপার নয়। তাই তার ভয়ে এলাকার কয়েকটি বাঘ নিজেদের এলাকা ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছিল অগভীর জঙ্গলে জনবসতির কাছাকাছি এলাকায়। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছিল গ্রামবাসীদের।
তাঁরা বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। অবশেষে বাঘকে বাগে আনতে না পেরে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জঙ্গলের চিফ ওয়ার্ডেন। বাঘটিকে আজীবন খাঁচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাঘটিকে পরিচিত এলাকা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নির্বাসন দেওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে।
বন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৯ সালেই বন্দি করা হয় বাঘটিকে। তার আগেই সে পর্যটক-সহ তিনজনকে হত্যা করেছিল। তবে বন্দি হওয়ার পরও তার স্বভাব বদলায়নি। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে বহু বাঘের সঙ্গেই লড়াই চলত তার।
বাঘ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বাঘগুলি সহৃদয় প্রকৃতির নয়। নিজের প্রজাতির অন্য বাঘের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা এর স্বভাবে নেই। তাই এরা হিংস্র প্রকৃতির এবং একা থাকতেই পছন্দ করে। তা বুঝতে পেরেই রণথম্ভোর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘটিকে। তাকে আপাতত কম পর্যটক অধ্যুষিত মুকুন্দ্র হিলস ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের দারা পাহাড়ি এলাকায় খাঁচাবন্দি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।